লক্ষীসাগরে ১ টাকায় চপ বিক্রি করেই লক্ষী লাভ ! গল্প নয় সত‍্যি

9th November 2020 6:49 pm বাঁকুড়া
লক্ষীসাগরে ১ টাকায় চপ বিক্রি করেই লক্ষী লাভ ! গল্প নয় সত‍্যি


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  দরজায় কড়া নাড়ছে শীত, ঠাণ্ডা আমেজে যদি সকাল বেলা হাতে গরম গরম চপ পাওয়া যায় সেটা খুব একটা মন্দ নয়। আবার বাঙ্গালীর চপ মুড়ির প্রীতি তো সর্বজন বিদিত। আর যদি এক টাকায় মিলে টাটকা গরম চপ!!  তবে বর্তমান দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বাজারে আলুর চপের দাম কোথাও তিন টাকা আবার কোথাও চার থেকে পাঁচ টাকা। আর হবে নাই বা কেন? কারণ প্রতি কেজি আলুর  মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তেল  সেঞ্চুরি, গত কয়েক বছরে বেসনের দাম বেড়েছে তিন দ্বিগুন।  কিন্তু যদি এখনো এক টাকায় চপ পাওয়া যায়? কি ভাবতে অবাক লাগছে তো? হ্যাঁ একদম সত্যি, বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের লক্ষী সাগরে এখনো পাওয়া এক টাকার  আলুর চপ। আর সেই চপ নিতে সকাল বেলা  রীতিমতো লাইন পড়ে যায় দোকানে। লক্ষীসাগরের বৈষ্ণবপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বুদ্ধদেব বাবুর দোকানে এক টাকাতেই মেলে গরম গরম আলুর চপ। দীর্ঘ দশ বছর তিনি এই এক টাকা পিস হিসাবেই চপ বিক্রি করে আসছেন বলে জানালেন বুদ্ধদেব দাস। কিন্তু এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কেন এক টাকায় চপ বিক্রি করেন তিনি? বুদ্ধদেব বাবুর জবাব, পাড়া গ্রামের ব্যপার, দাম বাড়িয়ে দিলে আর আসবে না খদ্দের, সারা দিনে তিন থেকে চারশ চপ বিক্রি হয় প্রতিদিন। আলুর দাম কম থাকায় খরচ বাঁচিয়ে কিছু লাভ হলেও এখন ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু ব্যবসা তো চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তাই সেই দামেই বিক্রি করছেন চপ। খদ্দের রাও খুশি এবং স্বাদ ও ভালো, আর দাম ও কম,সেই কারণে এই দোকানে এক টাকার চপ নিতে আসেন বলে জানালেন ক্রেতারা। শীতের আমেজে যাবেন নাকি বুদ্ধদেব বাবুর চপের দোকানে?





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।