দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : দরজায় কড়া নাড়ছে শীত, ঠাণ্ডা আমেজে যদি সকাল বেলা হাতে গরম গরম চপ পাওয়া যায় সেটা খুব একটা মন্দ নয়। আবার বাঙ্গালীর চপ মুড়ির প্রীতি তো সর্বজন বিদিত। আর যদি এক টাকায় মিলে টাটকা গরম চপ!! তবে বর্তমান দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির বাজারে আলুর চপের দাম কোথাও তিন টাকা আবার কোথাও চার থেকে পাঁচ টাকা। আর হবে নাই বা কেন? কারণ প্রতি কেজি আলুর মূল্য ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। তেল সেঞ্চুরি, গত কয়েক বছরে বেসনের দাম বেড়েছে তিন দ্বিগুন। কিন্তু যদি এখনো এক টাকায় চপ পাওয়া যায়? কি ভাবতে অবাক লাগছে তো? হ্যাঁ একদম সত্যি, বাঁকুড়ার সিমলাপাল ব্লকের লক্ষী সাগরে এখনো পাওয়া এক টাকার আলুর চপ। আর সেই চপ নিতে সকাল বেলা রীতিমতো লাইন পড়ে যায় দোকানে। লক্ষীসাগরের বৈষ্ণবপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে বুদ্ধদেব বাবুর দোকানে এক টাকাতেই মেলে গরম গরম আলুর চপ। দীর্ঘ দশ বছর তিনি এই এক টাকা পিস হিসাবেই চপ বিক্রি করে আসছেন বলে জানালেন বুদ্ধদেব দাস। কিন্তু এই অগ্নিমূল্যের বাজারে কেন এক টাকায় চপ বিক্রি করেন তিনি? বুদ্ধদেব বাবুর জবাব, পাড়া গ্রামের ব্যপার, দাম বাড়িয়ে দিলে আর আসবে না খদ্দের, সারা দিনে তিন থেকে চারশ চপ বিক্রি হয় প্রতিদিন। আলুর দাম কম থাকায় খরচ বাঁচিয়ে কিছু লাভ হলেও এখন ক্ষতি হচ্ছে, কিন্তু ব্যবসা তো চালিয়ে নিয়ে যেতে হবে, তাই সেই দামেই বিক্রি করছেন চপ। খদ্দের রাও খুশি এবং স্বাদ ও ভালো, আর দাম ও কম,সেই কারণে এই দোকানে এক টাকার চপ নিতে আসেন বলে জানালেন ক্রেতারা। শীতের আমেজে যাবেন নাকি বুদ্ধদেব বাবুর চপের দোকানে?